হিজড়া জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার একটি ক্ষুদ্র অংশ হলেও আবহমান কাল থেকে এ জনগোষ্ঠী অবহেলিত ও অনগ্রসর গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত। সমাজে বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার এ জনগোষ্ঠীর পারিবারিক, আর্থসামাজিক, শিক্ষা ব্যবস্থা, বাসস্থান, স্বাস্থ্যগত উন্নয়ন এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ সর্বোপরি তাদেরকে সমাজের মূল স্রোতধারায় এনে দেশের সার্বিক উন্নয়নে তাদেরকে সম্পৃক্তকরণের লক্ষ্যে সরকার এ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য :
- স্কুলগামী হিজড়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ৪ স্তরে (জনপ্রতি মাসিক প্রাথমিক ৩০০, মাধ্যমিক ৪৫০, উচ্চ মাধ্যমিক ৬০০ এবং উচ্চতর ১০০০ টাকা হারে) উপবৃত্তি প্রদান;
- ৫০ বছর বা তদুর্ধ বয়সের অক্ষম ও অসচ্ছল হিজড়াদের বিশেষ ভাতা জনপ্রতি মাসিক ৪০০ প্রদান;
- বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মক্ষম হিজড়া জনগোষ্ঠীর দক্ষতা বৃদ্ধি ও আয়বর্ধনমূলক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করে তাদের সমাজের মূল স্রোতধারায় আনয়ন;
- প্রশিক্ষণোত্তর আর্থিক সহায়তা প্রদান।
সেবা প্রাপ্তির প্রয়োজনীয় সময়:
- ১. নতুন বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে আবেদনের ০৩ মাসের মধ্যে;
- ২. পুরাতন বা নিয়মিতদের ক্ষেত্রে ০৭ কর্মদিবস
স্থান:
বাংলাদেশসুযোগ সুবিধাসমূহ
প্রয়োজনীয় ফি/ট্যাক্স/আনুষঙ্গিক খরচঃ
- বিনামূল্যে
সংশ্লিষ্ট আইন/বিধি/ নীতিমালাঃ
- বিশেষ ভাতা ৩০০/- মাসিক
- উপবৃত্তি :
- প্রাথমিক-৩০০/-
- মাধ্যমিক-৪৫০/-
- উচ্চ মাধ্যমিক-৬০০/-
- স্নাতক বা স্নাতকোত্তর-১০০০/-
প্রশিক্ষণ :
- প্রশিক্ষণার্থীদের আর্থিক সহায়তা ১০,০০০/- (ন্যূনতম) (অফেরতযোগ্য)
আবেদনের যোগ্যতা
- ১৮ বছর বয়সের উর্ধ্ব কর্মক্ষম ব্যক্তিদেরকে ট্রেড ভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান দেয়া হবে।
- হিজড়া জনগোষ্ঠী থেকে হতে হবে।
আবেদন পদ্ধতি
বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে উপজেলা/শহর সমাজসেবা অফিসার বিজ্ঞপ্তি প্রচার করেন অত:পর নির্ধারিত ফরমে আগ্রহী ব্যক্তিদের সমাজসেবা অফিসার বরাবর আবেদন করতে হয় । প্রাপ্ত আবেদন ইউনিয়ন কমিটি কর্তৃক সরেজমিনে যাচাই-বাছাই করে প্রস্তাব আকারে উপজেলা কমিটিতে প্রেরণ করে। অত:পর উপজেলা কমিটি যাচাই বাছাই করে বরাদ্দ অনুসারে উপকারভোগী নির্বাচন করে। নির্বাচিত ব্যক্তির নামে ব্যাংক হিসাব খোলা এবং কেন্দ্রীয় হিসাব হতে ভাতা বা উপবৃত্তির টাকা স্থানান্তর করে নির্বাচিত ব্যক্তিকে অবহিতকরণ পূর্বক ভাতা বা উপবৃত্তি বিতরণ সম্পন্ন করা হয় ।
আবেদন করুনঅফিসিয়াল লিংক