জাদুর শহর এই ঢাকা । প্রচণ্ড যানজট, ব্যস্তময় জীবন, আধুনিকতার ছোঁয়ায় প্রযুক্তি নির্ভর জীবনযাপন এর বাইরেও এই ঢাকার রয়েছে আরও একটি রূপ । এক অচেনা অজানা রূপ । যা কম বেশি আমাদের সবাইকেই সম্মোহনের মতোই টানে । কি আছে এই রূপে? কি আছে এই পুরান ঢাকায়? যা সবাইকেই সম্মোহনের মতো টানে ।
পুরান ঢাকার এই অচেনা অজানা ইতিহাস জানতেই আমাদের এই আয়োজন । ঘুরে বেড়াবো অলি-গলি, ঐতিহাসিক সব দালানের মাঝ দিয়ে । যেখানে একসময় বিচরণ ছিল আমাদের পূর্ব পুরুষদের । বিচরণ ছিল সেই অতীতের রাজা, নবাব, জমিদার এর । যেখানে আমাদের মতোই বিচরণ করেছিলেন তারা, চালিয়েছেন নিজের শাসনামল, সাম্রাজ্য । কিংবা নূপুরের ধ্বনি দিয়ে মুখরিত করেছিলো প্রাঙ্গণ, কোন এক সুন্দরী নর্তকী । সে সবই আমরা অনুভব করবো, অবলোকন করে ফিরে যাবো সেই অতীতে ।
কোন পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়েছিলো সেই দালানগুলো? যা আজো এভাবে শক্তভাবে ঠায় দাড়িয়ে আছে । ছিলোনাতো বর্তমানের মতো আধুনিক কোন প্রযুক্তি । কি ছিল সেই আমলের স্থাপত্যের ভিত্তি? কারা করেছিলেন নকশা? সে নকশায় কেন এতো মোহ? প্রাচীন আমলের সেই ইট সুরকির গন্ধ আজো মোহাবিষ্ট করে ফেলে সবাইকেই ।
স্থাপত্য এবং ইতিহাস প্রিয় সকলের জন্যই আমাদের এই পায়ে হাটা ইতিহাস ভ্রমণ । অংশ নিতে পারবেন যে কোন বয়সের কেউ, আসতে পারবেন একা কিংবা নিজের সঙ্গী কে নিয়ে, কিংবা দলবেঁধে ।
সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চলবে এই পায়ে হাঁটা ভ্রমণ । ঘুরে দেখা হবে ঐতিহাসিক সাক্ষী গুলোকে, সময় কাটানো হবে একসাথে, ফিরে যাওয়া হবে সুদূর অতীতে । সেই সাথে ছবি তোলা এবং রঙ তুলিতে নিজের ক্যানভাসে ইতিহাস ফুটিয়ে তোলা তো আছেই । আর এর ফাঁকে ফাঁকে পুরান ঢাকার বিখ্যাত কিছু খাবার উপভোগ এবং চা পর্ব ।
আর এই পুরোটা জুড়েই সাথে থাকবেন একজন দলনেতা । যিনি দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করছেন পুরান ঢাকার স্থাপত্য ও ইতিহাস নিয়ে, কাজ করছেন এগুলো সংরক্ষণেও । সরকারি, বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক নানা প্রোজেক্ট এ কাজ করছেন পুরান ঢাকার স্থাপত্য ও ইতিহাস নিয়েই । পুরোটাই যেন নখদর্পণে তাঁর । ভ্রমণের সাথে সাথে থাকবে তাঁর কর্মশালা, যা থেকে খুব সহজেই ইতিহাস ঘুরে আসা যাবে ।
এই পুরো আয়োজনে অংশ নিতে পারবে মাত্র ৩০ জন । যারা এবার অংশ নিতে পারবেনা তারা পরবর্তী ভ্রমণে অংশ নিতে পারবে । পুরো পুরান ঢাকাকে আমরা ভাগ করেছি ৪টা ভাগ এ । একেকটি ভ্রমণ একেকদিন একেকটা ভাগকে ঘিরেই হবে । আমাদের এই পর্বের রুট প্ল্যান খুব শীঘ্রই ইভেন্ট এ পোস্ট করা হবে । সেই সাথে পুরো দিনের পরিকল্পনাও তুলে ধরা হবে দ্রুত ।
এই পর্বে অংশ নিতে হলে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে নিজের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে প্রথমেই । আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে রেজিস্ট্রেশন গ্রহণ করা হবে । ৩০ জন পূরণ হয়ে গেলে আমরা রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করে দিবো ।
এই পর্বের জন্য রেজিস্ট্রেশন ফি ১০২০ টাকা । এই ফি বিকাশ এর মাধ্যমে আমাদের কাছে পাঠাতে হবে । খুব দ্রুতই রেজিস্ট্রেশনের পুরো পদ্ধতি জানিয়ে দেয়া হবে ।
স্থান:
বাংলাদেশসুযোগ সুবিধাসমূহ
অংশগ্রহণকারীদের জন্য যা যা থাকছে –
– টি-শার্ট
– সার্টিফিকেট
– ব্যাজ
– আইডি কার্ড
– চা পর্ব
– বিকালের নাস্তা
– দুপুরের খাবার
আবেদনের যোগ্যতা
উন্মুক্ত
যেসকল স্থানের প্রার্থীদের জন্য প্রযোজ্য: বাংলাদেশ