রেহম আল-ফাররা মেমোরিয়াল সাংবাদিকতা ফেলোশিপ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ প্রস্তাব ৩৫/২০১ দ্বারা ১৯৮০ সালের ডিসেম্বরে গৃহীত হয় যা প্রদান করা বাধ্যতামূলক। ইতোপূর্বে এই প্রোগ্রামটি বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশের ব্রডকাস্টার এবং সাংবাদিকদের জন্য ডিপিআই প্রশিক্ষণ কর্মসূচী হিসেবে পরিচিত ছিল। পরবর্তীতে এই প্রোগ্রামটি ২৯ বছর বয়সী জর্ডানিয়ান পাবলিক তথ্য অফিসার রেহম আল-ফাররার সম্মানে নামকরণ করা হয়। ২০০৩ সালের ১৯ আগস্ট বাগদাদে জাতিসংঘ সদর দফতরে বোমা হামলায় তিনি নিহত হন।
১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে ১৬৮ টি দেশের ৫২৬ জন সাংবাদিককে এই ফেলোশিপ প্রদান করা হয়েছে। আশা করা হয় যে প্রোগ্রামটি শেষে ফেলোরা সাংবাদিকতা পেশায় কাজ চালিয়ে যাবে এবং নিজ দেশে জাতিসংঘের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে প্রচার চালাবে।যেহেতু সকল ফেলো সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত তাই প্রোগ্রাম চলাকালীন কোন মৌলিক দক্ষতার প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় না।
এই প্রোগ্রামটি উন্নয়নশীল এবং অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া দেশগুলোর তরুণ এবং কর্মরত সাংবাদিকদের এক অনন্য সুযোগ প্রদান করে। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে কিছু নির্বাচিত সাংবাদিকদের নিউইয়র্কে নিয়ে আসা হয়। তারা জাতিসংঘের সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের নিউজ আউটলেটের জন্য সংবাদ সরবরাহের সুযোগ পায়।
৩ সপ্তাহের এই কর্মসূচী চলাকালীন ফেলোরা বিশেষ ব্রিফিংয়ে অংশগ্রহণ, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকার এবং বিভিন্ন দেশ থেকে আগত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ের সুযোগ পাবে। বিগত বছরগুলোতে ফেলোরা জাতিসংঘের মহাসচিব, সাধারণ পরিষদের সভাপতি এবং জাতিসংঘের স্থায়ী প্রতিনিধিদের সাথে সাক্ষাতের সুযোগ পেয়েছে।এই ফেলোশিপ প্রোগ্রাম চলাকালীন ফেলোরা বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা যেমন নিউইয়র্ক টাইমস, ডেমোক্র্যাসি নাউ!, WNYC রেডিও পরিদর্শনের সুযোগ পাবে।
স্থান:
যুক্তরাষ্ট্রসুযোগ সুবিধাসমূহ
- নিজ দেশ থেকে নিউইয়র্ক পর্যন্ত যাওয়ার জন্য রাউন্ডট্রিপ এয়ার ফেয়ার প্রদান করা হবে।
- জীবিকা নির্বাহের জন্য দৈনিক আনুমানিক ৪১০ ডলার প্রদান করা হবে।
আবেদনের যোগ্যতা
- বয়স সীমাঃ ২২-৩৫ বছর
- ফুলটাইম ওয়ার্কিং সাংবাদিক হওয়া আবশ্যক
- ইংরেজিতে দক্ষ
- ভ্যালিড পাসপোর্ট থাকা আবশ্যক
- উন্নয়নশীল এবং অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া দেশের নাগরিকদের জন্য প্রযোজ্য
আবেদন পদ্ধতি
অনলাইন লিঙ্কের মাধ্যমে আবেদন করুন।
আবেদনের শেষ তারিখ: এপ্রিল ১৫, ২০১৯
আবেদনের সময় শেষঅফিসিয়াল লিংক