• সম্পূর্ণ স্কলারশিপ

ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের আমেরিকান সেন্টার থেকে কেনেডি-লুগার ইয়ুথ এক্সচেঞ্জ এবং স্টাডি প্রোগ্রাম ২০২০-২১ সম্পর্কে ঘোষণা করা হয়েছে।

এটি যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেটস ব্যুরো অফ এডুকেশনাল এন্ড কালচারাল এফেয়ারস দ্বারা স্পন্সর করা একটি হাই-স্কুল এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম। এই প্রোগ্রামটি ২০০২ সালের অক্টোবরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই প্রোগ্রামের লক্ষ্য হল যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের মধ্যে বিশেষত মুসলিম নাগরিকদের সাথে সেতুবন্ধ সৃষ্টি করা।

ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন এন্ড রিসোর্স নেটওয়ার্ক- বাংলাদেশ (iEARN-BD) মার্কিন দূতাবাসের মাধ্যমে এই প্রোগ্রামটি পরিচালিত করে। এই এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশে অষ্টম থেকে একাদশ শ্রেণীতে অধ্যয়নরত যেকোনো শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো একটি হাই-স্কুলে এক বছর অধ্যয়নের সুযোগ পাবে। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে পারবে এবং নেতৃত্তের দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ পাবে।  পাঠ্যক্রমের পাশাপাশি, শিক্ষার্থীদের বহির্মুখী ক্রিয়াকলাপ এবং স্বেচ্ছাসেবক প্রকল্পগুলোতে অংশগ্রহণ করে স্থানীয় সম্প্রদায়ের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কাজ করতে হবে।

ইয়ুথ এক্সচেঞ্জ অ্যান্ড স্টাডি (কে-এল ইয়েস) প্রোগ্রাম ২০০৪ সালে বাংলাদেশে শুরু হয়েছিল এবং এখন পর্যন্ত ৩৯২ জন বাংলাদেশী শিক্ষার্থী সাফল্যের সাথে এই প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছে। অনেক ইয়েস অংশগ্রহণকারীদের যুক্তরাষ্ট্রে তাদের সম্প্রদায়ের পরিষেবা কার্যক্রমের জন্য স্বীকৃতি প্রদান করেছে।

ইয়েস আবেদন এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ায় একাধিক রাউন্ড রয়েছেঃ

  • সমস্ত আবেদনকারীদের একটি ইংরেজী দক্ষতার পরীক্ষা দিতে হবে
  • একটি প্রাকৃত রচনা বা proctored essay লিখতে হবে
  • ইয়েস প্রোগ্রামের আবেদন সম্পূর্ণ করতে হবে
  • দলীয় এবং ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণ করতে হবে

সমস্ত চূড়ান্ত প্রার্থীদের যোগ্যতার ভিত্তিতে নির্বাচিত করা হয়।

Read the opportunity in English!

 

স্থান:

যুক্তরাষ্ট্র

সুযোগ সুবিধাসমূহ

  • নিজ দেশ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাউন্ড-ট্রিপ এয়ারফেয়ার।
  • প্রি-ডিপারচার ওরিয়েন্টেশনের ব্যয়।
  • মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হোস্ট পরিবারের সাথে ১০ থেকে ১১ মাসের জন্য অবস্থান করার সুযোগ।
  • একটি পরিমিত মাসিক উপবৃত্তি।
  • স্বাস্থ্য বীমা।
  • প্রোগ্রামের ক্রিয়াকলাপ এবং উপকরণের ব্যয়।

আবেদনের যোগ্যতা

  • বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। দ্বৈত নাগরিক বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কোনও দেশের স্থায়ী বাসিন্দা আবেদন করতে পারবে না।
  • আগস্ট ০১, ২০২০-এ ১৫ থেকে ১৭ বছর বয়সের মধ্যে হতে হবে; আগস্ট ১, ২০০৩ এবং আগস্ট ১, ২০০৫ এর মধ্যে জন্ম তারিখ রয়েছে এমন প্রার্থী আবেদন করতে পারবে।
  • বর্তমানে বাংলাদেশের যে কোনও হাই স্কুল এবং / অথবা কলেজে অষ্টম-একাদশ শ্রেণীতে অধ্যয়নরত।
  • লিখিত এবং মৌখিক ইংরেজিতে দক্ষ।
  • বর্তমান এবং গত দুই বছরে কোনও ফেইল ছাড়া বি-গ্রেড বা তার চেয়েও ভাল ফলাফল থাকা আবশ্যক।
  • U.S. J1 ভিসার যোগ্যতার প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে সক্ষম।
  • পরিবার অথবা আত্মীয়দের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের জন্য আবেদন করেনি।
  • মোট ৯০ দিনের বেশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করেনি।
  • পিতামাতার কেউই মার্কিন মিশনে (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস, ইউএসএআইডি) কাজ করেন না।
  • আমেরিকান স্কুল এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে সঠিকভাবে বাংলাদেশী সংস্কৃতি উপস্থাপন করতে সক্ষম।
  • কর্মসূচি শেষ করে এবং দুই বছরের হোম রেসিডেন্সির প্রয়োজনীয়তা পূরণের পরে বাংলাদেশে ফিরে আসতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
  • নেতৃত্বের দক্ষতা প্রদর্শনে সক্ষম।
  • যুক্তরাষ্ট্রে বা দেশের বাইরে অন্য কোথাও অধ্যয়ন বা ভ্রমণের স্বল্প অভিজ্ঞতা রয়েছে বা কোন অভিজ্ঞতাই নেই এমন যেকোনো শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবে।
  • একটি শিক্ষাগত বছরের জন্য একটি নিবিড় একাডেমিক প্রোগ্রাম, সম্প্রদায় পরিষেবা এবং শিক্ষামূলক ভ্রমণে সম্পূর্ণরূপে অংশ নিতে ইচ্ছুক এবং সক্ষম।
  • আমেরিকান হাই স্কুল জীবনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে এবং আমেরিকান হোস্ট পরিবারের সাথে বসবাসের জন্য প্রস্তুত।
  • শিক্ষার্থীকে পরিণত, দায়বদ্ধ, স্বতন্ত্র, আত্মবিশ্বাসী, মুক্তমনা, সহনশীল, চিন্তাশীল এবং অনুসন্ধানী হতে হবে।
যেসকল স্থানের প্রার্থীদের জন্য প্রযোজ্য: বাংলাদেশ

আবেদন পদ্ধতি

স্টেপ-১ঃ প্রাথমিক আবেদন 

  • iEARN-BD ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
  • স্বাক্ষরিত আবেদনের সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র iEARN-BD অফিসে জমা দিতে হবে।

অথবা

  • iEARN-BD কার্যালয় থেকে আবেদন ফর্ম সংগ্রহ করতে হবে অথবা ওয়েবসাইট থেকে ফর্ম ডাউনলোড করতে হবে। এক্ষেত্রে ফর্মের ফটোকপিও গ্রহণযোগ্য।
  • ডাকের মাধ্যমে বা স্বশরীরে iEARN-BD কার্যালয়ে সময়সীমার মধ্যে প্রয়োজনীয় ফর্ম জমা দিতে হবে।

স্টেপ-২ঃ ফোন ইন্টারভিউ

  • প্রাথমিক আবেদন স্ক্রিনিংয়ের পরে, শর্ট-লিস্টেড প্রার্থীদের একটি ফোন ইন্টারভিউয়ের জন্য আমন্ত্রিত করা হবে। ইন্টারভিউটি ৩ মিনিট দীর্ঘ হবে এবং সাধারণ জ্ঞানের উপর আবেদনকারীদের পরীক্ষা করার জন্য এই ইন্টারভিউটি সাজানো হয়েছে। ইন্টারভিউ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য শর্ট-লিস্টেড প্রার্থীদের জানানো হবে।

স্টেপ-৩ঃ ELTiS টেস্ট এবং ইন-ক্লাস রচনা

  • ফোন ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রার্থীদের ELTiS টেস্ট এবং ইন-ক্লাস রচনার জন্য পরীক্ষা দিতে হবে।
  • ELTiS পরীক্ষা সম্পর্কে: ELTiS এর অর্থ হল English Language Test for International Students। এই পরীক্ষায় ২টি অংশ রয়েছে। রিডিং(৪৫ মিনিট);লিসেনিং(২৫মিনিট)।
  • ইন-ক্লাস রচনা সম্পর্কে: শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার সময় ৩ টি রচনা লিখতে হবে। প্রতিটি রচনা শেষ করার জন্য শিক্ষার্থীরা ২০ মিনিট সময় পাবে।

স্টেপ-৪ঃ চূড়ান্ত আবেদন এবং ইন্টারভিউ 

  • ELTiS টেস্ট এবং ইন-ক্লাস রচনা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের একটি চূড়ান্ত আবেদন জমা দিতে হবে। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবহিত করা হবে।
  • চূড়ান্ত আবেদন জমা দেওয়ার পর শিক্ষার্থীদের একটি ইন্টারভিউতে অংশগ্রহণ করতে হবে। ইন্টারভিউতে ২টি অংশ রয়েছেঃ দলীয় এবং ব্যক্তিগত।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি থেকে চূড়ান্ত প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করা হবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের অবহিত করা হবে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের আগে প্রি-ডিপারচার ওরিয়েন্টেশন (পিডিও) এবং ট্র্যাভেল ওরিয়েন্টেশনে অংশ নিতে হবে। এই ২টি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা বাধ্যতামূলক।

আবেদনের শেষ তারিখ: নভেম্বর ২৩, ২০১৯

আবেদনের সময় শেষঅফিসিয়াল লিংক
Disclaimer: Youth Opportunities spreads opportunities for your convenience and ease based on available information, and thus, does not take any responsibility of unintended alternative or inaccurate information. As this is not the official page, we recommend you to visit the official website of opportunity provider for complete information. For organizations, this opportunity is shared with sole purpose of promoting “Access to Information” for all and should not be associated with any other purposes.

Log in with your credentials

Forgot your details?