২০১৪ সালে আওয়ার ওশান সম্মেলনটি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি দ্বারা সূচিত হয়। এই সম্মেলনের লক্ষ্য হল বিদেশী নীতিতে মহাসাগর বিষয়ক কর্মকাণ্ডকে এজেন্ডা হিসেবে তুলে ধরা এবং এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা যেখানে সরকার, ব্যবসা ও নাগরিক সমাজের নেতারা কাজ এবং উদ্ভাবনের মাধ্যমে পরিষ্কার, স্বাস্থ্যকর এবং উৎপাদনশীল মহাসাগরের জন্য একত্রিত হয়ে কাজ করবে।এবারের সম্মেলনের থিম হলো –“Co-creating the Sustainable Blue Economy”। নরওয়ে সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব দিয়ে এসেছে। এই সম্মেলনটি অংশগ্রহণকারীদের সামগ্রিক সমাধান খোঁজার জন্য উৎসাহিত করবে যা সমাজ, শিল্প এবং সমুদ্রের পরিবেশের মধ্যে প্রয়োজনীয় সামঞ্জস্য বজায় রাখতে সহায়তা করবে।
ব্রেক আউট সেশনে সাস্টেনেবেল ওশান এলায়েন্স এবং আর্কটিক ইউনিভার্সিটি অফ নরওয়ে অনলাইন বুটক্যাম্পের আয়োজন করবে। এই আলোচনার লক্ষ্য হলো ইকো পর্যটন, মৎস্য ব্যবস্থাপনা, বৃত্তাকার অর্থনীতি সহ অন্যান্য বিষয়ের উপর বিষয় ভিত্তিক আলোচনা করা।
পুরো সম্মেলনের সময় তরুণদের সামুদ্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক উপায় নিয়ে কাজ করার জন্য উৎসাহিত করা হবে। তাছাড়া, বিভিন্ন প্যানেল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত এবং নীতি ও সমাধান নির্ণয়ে কাজ করবে।
সম্মেলনটি সরকার, শিল্প, বিজ্ঞান ও নাগরিক সমাজের মধ্যে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে সহায়তা করবে। তারা সামুদ্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য জ্ঞান, প্রযুক্তি এবং অর্থ প্রদান করবে এবং সামুদ্রিক উৎপাদন ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে একসাথে কাজ করবে।
এবছর সম্মেলনের জন্য ১০০ জন প্রার্থীকে নির্বাচিত করা হবে যাদেরকে এই সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য বৃত্তি প্রদান করা হবে।
স্থান:
নরওয়েসুযোগ সুবিধাসমূহ
- অংশগ্রহণকারীরা সমুদ্রের স্বাস্থ্যগত পদ্ধতি এবং বিভিন্ন সামুদ্রিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে বিস্তারিত ধারণা লাভ করবে।
- সাস্টেনেবেল ওশান এলায়েন্স প্রতিটি অংশগ্রহকারীর জন্য ৩দিন থাকার ব্যবস্থা করবে।
- নির্বাচিত প্রার্থীর যদি নরওয়ে ভ্রমণের জন্য ভিসার প্রয়োজন হয় তাহলে ভিসা লেটার প্রদান করা হবে। কিন্তু ভিসা বিষয়ক কোন খরচ প্রদান করা হবে না।
- কফি ব্রেকের সময় পানীয় ও হাল্কা নাস্তা এবং মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা করা হবে। ২৩ ও ২৪ অক্টোবর একটি বুফে লাঞ্চের আয়োজন করা হবে।
- ২২ অক্টোবর ককটেল রিসেপশনের সময় নন-এল্কোহলিক পানীয় এবং নাস্তা প্রদান করা হবে।
আবেদনের যোগ্যতা
- বয়স সীমাঃ ৩৫ বছর
- পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ সমাধানে এবং তাতে অবদান রাখতে আগ্রহী। যেমনঃ মহাসাগরীয় অ্যাসিডিফিকেশন, সামুদ্রিক দূষণ, আবাসস্থল ধ্বংস, মাত্রাতিরিক্ত মাছ ধরা ইত্যাদি।
- বিভিন্ন সামুদ্রিক চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে জ্ঞান রয়েছে এমন।
- বিস্তারিত জানতে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
আবেদন পদ্ধতি
অনলাইন লিঙ্কের মাধ্যমে আবেদন করুন।
আবেদনের শেষ তারিখ: জুলাই ৬, ২০১৯
আবেদনের সময় শেষঅফিসিয়াল লিংক