• এপ্রিল ২৫ - ২৬, ২০১৯
  • ঢাকা

গল্পটি তিনজন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলের । আর আট দশটা সাধারণ শিক্ষার্থীদের  মত তারাও ঘুম চোখে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেত, ল্যাব, কুইজ, এটেন্ডেন্স, প্রেজেনটেশন এর যন্ত্রণা পোহাত। পার্থক্য হচ্ছে তিনটি ছেলেই ভিন্ন কিছু স্বপ্ন দেখত, আলাদা কিছু করার চিন্তা করত। সিভি বগলদাবা করে ঘুরে ঘুরে জুতোর তলা ক্ষয় করার থেকে নিজের কিছু একটা হবে এরকম ভাবনা ভাবত । সেই ভাবনা থেকেই একদিন সাহস করে নেমে পড়ল তারা। সম্বল বলতে তিনটি বাইক, উদ্দেশ্য ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেয়া । কিছুদিন এভাবে চলার পর বুদ্ধি আসল বাইক রাইড শেয়ারিং এর। হাতে গোনা  কয়েকটা বাইক,একটি অন টেস্টিং এপ্স  আর আকাশচুম্বী স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা শুরু করল তিনটি ছেলে । যে ছেলেগুলো পরবর্তী কয়েক বছরের মধ্যে গোটা দেশের স্টার্ট আপের চিত্রটাই বদলে দিয়েছিল। তাদের সেই ব্রেইনচাইল্ড কেই আজকে আমরা “পাঠাও” নামে জানি । তিনটি বাইক নিয়ে যাত্রা শুরু করা স্টার্ট আপ আজ মাল্টিমিলিয়ন ডলার এর ব্যবসা । সেদিন যদি তারা বাকিদের মত নিরুৎসাহিত হয়ে , দেশে টাকা ছাড়া কিছু দাঁড়া করানো সম্ভব না ভেবে ভয় পেয়ে পিছিয়ে যেত তাহলে আমাদের দেশের স্টার্ট আপের পুরো একটা ইতিহাস অলেখা হয়ে থাকত । শুধুমাত্র আইডিয়া আর রিয়েলিটি বেইজ  ইম্পলিমেনটেশন প্ল্যান দিয়েই দেশ বিদেশের বিনিয়োগকারীদের সন্তুষ্ট করে ফেলেছিল আজকের পাঠাও । All it takes is just a little bit courage and a GOOD BUSINESS IDEA / CONCEPT !!

সেই স্বপ্নবাজ তরুণদের উদ্ভাবনী ভাবনা, উদ্যোগ ও স্টার্টআপকে ব্যবহার করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নিয়ে শুরু হয়েছে ‘স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ’। গত ৮ মার্চ কেন্দ্রীয় সমন্বয় কর্মশালার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ‘আমার উদ্ভাবন, আমার স্বপ্ন’ শিরোনামের বিশেষ প্রতিযোগিতার প্রথম চ্যাপ্টার।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আইসিটি বিভাগের ইনোভেশন ডিজাইন অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনারশিপ একাডেমি-আইডিয়া প্রকল্প এবং দেশের তরুণদের স্বপ্নের ও সবচেয়ে বড় প্লাটফর্ম ইয়াং বাংলা’র যৌথ উদ্যোগে শুরু হচ্ছে এ স্টার্টআপ প্রতিযোগিতা।

দেশের আট বিভাগ থেকে ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে পরিচালিত হবে ‘স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ:চ্যাপ্টার ওয়ান’ প্রতিযোগিতা। নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়েও অংশ নিতে পারবে শিক্ষার্থীরা।

স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে সহায়তা করবে ইয়াং বাংলার ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডররা। ক্যাম্পাস পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাছাই করা হবে ৩টি করে দল। ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২০টি দল নিয়ে সাভারে অনুষ্ঠিত হবে ‘জাতীয় স্টার্টআপ ক্যাম্প’।

পরে, দর্শক এবং বিচারকদের ভোটে বাছাই করা হবে মূল প্রতিযোগিতার শীর্ষ ৩০ স্টার্টআপ । পরে জাতীয় পর্যায়ে সেরা ১০ উদ্ভাবনী ভাবনা বা স্টার্টআপ নির্বাচন করেবে ‘আইডিয়া’ প্রকল্পের বাছাই কমিটি এবং অন্য বিচারকরা।

এবার স্বপ্নপূরণের পালা !!
তাই আর দেরী কেন আজই রেজিস্ট্রেশন করে ফেলুন!

স্থান:

বাংলাদেশ

সুযোগ সুবিধাসমূহ

  • নির্বাচিত প্রথম দশজন পাবে ৫ লক্ষ টাকার উপর (ব্যবসার ধরণের ভিত্তিতে) ফান্ডিং এবং ইভেন্ট প্রচারণার অংশ হিসেবে পাওয়া হয়ে যাবে প্রফেশনাল লেভেলের মার্কেটিং ।
  • দেশের স্টার্ট আপের সব থেকে বড় দুই চ্যালেঞ্জ ফান্ডিং এবং মার্কেটিং দুটোই কাভার আপ হয়ে যাবে শুধুমাত্র আপনার অংশগ্রহণের মাধ্যমেই।

আবেদনের যোগ্যতা

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া যেকোন শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবে।

যেসকল স্থানের প্রার্থীদের জন্য প্রযোজ্য: বাংলাদেশ

আবেদন পদ্ধতি

অনলাইন লিঙ্কের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করুন।

আবেদনের শেষ তারিখ: এপ্রিল ২৪, ২০১৯

আবেদনের সময় শেষঅফিসিয়াল লিংক
Disclaimer: Youth Opportunities spreads opportunities for your convenience and ease based on available information, and thus, does not take any responsibility of unintended alternative or inaccurate information. As this is not the official page, we recommend you to visit the official website of opportunity provider for complete information. For organizations, this opportunity is shared with sole purpose of promoting “Access to Information” for all and should not be associated with any other purposes.

Log in with your credentials

Forgot your details?