• অক্টোবর ৩১, ২০১৯

জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচী  জাতীয় পর্যায়ে আয়োজন করতে চলেছে একটি বিশেষ প্রতিযোগিতার, যার মাধ্যমে খুঁজে নেয়া হবে আজ ও আগামীর অনুসরনীয় আদর্শদের। অনুসন্ধান করা হবে যুব সম্প্রদায়ের সে সকল রোলমডেল যারা  নিঃস্বার্থে নিজেদের অবস্থান থেকে ১৭টি টেকসই লক্ষ্যমাত্রার যে কোন একটি অর্জনে প্রতিনিয়ত লড়ে চলেছেন। যাদের অবদানে দেশ ও জাতি পাচ্ছে উন্নয়ন এবং পরিবর্তনের ছোঁয়া।

জাতীয় আদর্শ হিসেবে মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রত্যেক প্রতিযোগীকে নিজেদের নেতৃত্ব, কার্যকারিতা ও পরিবর্তনের অঙ্গীকারে গৃহীত পদক্ষেপসমূহের অর্থাৎ কাজের চিত্র উপস্থাপন করতে হবে যা হবে তার যোগ্যতার পরিচায়ক। নিজেদের কাজের মৌলিক প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করা যেতে পারে কোন সফল উদ্যোগ, টেকসই লক্ষ্যমাত্রা হতে অনুপ্রেরিত সাধারণ সম্প্রদায়ের জন্য গৃহীত জনকল্যাণমূলক উদ্যোগ; নিজ অবদানে সামাজিক অবস্থান বদলে দিতে আত্মউৎসর্গ করার উদাহরণ। প্রতিটি অবদান ক্ষুদ্র হোক কিংবা বড় সবই থাকবে আদর্শ প্রার্থী নির্বাচন বিবেচনার আওতাধীন।

প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে নির্বাচিত যুবসম্প্রদায়ের ১৭ জন রোলমডেলকে তাদের কাজের ভিত্তিতে করা হবে সম্মানিত। তাদের সাফল্য ও অবদানকে স্বীকৃতি দিয়ে তাদের গল্প তুলে ধরা হবে শিশুতোষ রচনায় ও দেশব্যাপী ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে বিতরণ করা হবে। তাদের গল্প সম্বলিত ৫০০০ কপি বই বাংলা ও ইংরেজিতে প্রকাশিত হবে এবং সারা বাংলাদেশ জুড়ে ৪৫টি উপজেলার ১৫০০ স্কুলে বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে।

আপনি কি এমন কোন পরিবর্তনকারীকে চিনেন যিনি হতে পারেন জাতীয় আদর্শ, যিনি সমাজের অবস্থান পরিবর্তনে, জনকল্যাণে, টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অবিরাম সংগ্রামরত, যার কার্যকরী যুগোপযোগী ও মহৎ উদ্যোগে কোন সম্প্রদায়ের ভাগ্য হচ্ছে পরিবর্তিত?

প্রত্যেক মনোনয়ন প্রত্যাশী নিম্নের যে কোন একটি বিভাগে আবেদন করতে পারবেন-

১। দারিদ্র্য বিমোচনঃ সর্বত্র সবধরনের দারিদ্র নির্মূল করা।

২। ক্ষুধা মুক্তিঃ ক্ষুধা মুক্তি, খাদ্য নিরাপত্তা ও উন্নত পুষ্টির  লক্ষ্য অর্জন ও টেকসই কৃষি ব্যবস্থা চালু।

৩। সুস্বাস্থ্যঃ স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন নিশ্চিত করা ও সব বয়সের সবার কল্যাণে কাজ করা।

৪। মানসম্মত শিক্ষাঃ অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমতাভিত্তিক মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা এবং সবার জন্য আজীবন শিক্ষার সুযোগ তৈরি করা।

৫। লিঙ্গ সমতাঃ লিঙ্গ সমতা অর্জন এবং সব নারী ও মেয়েদের ক্ষমতায়ন করা।

৬। সুপেয় পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাঃ সবার জন্য নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশনের সহজপ্রাপ্যতা ও টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা।

৭। নবায়নযোগ্য ও ব্যয়সাধ্য জ্বালানীঃ সবার জন্য আধুনিক, নবায়নযোগ্য ও ব্যয়সাধ্য জ্বালানী সুবিধা নিশ্চিত করা।

৮। কর্মসংস্থান ও অর্থনীতিঃ সবার জন্য দীর্ঘমেয়াদী, অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, পূর্ণাঙ্গ ও উৎপাদনশীল উপযুক্ত কাজের সুবিধা নিশ্চিত করা।

৯। উদ্ভাবন ও উন্নত অবকাঠামোঃ দীর্ঘস্থায়ী অবকাঠামো তৈরি করা, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই শিল্পায়ন করা এবং উদ্ভাবন উৎসাহিত করা।

১০। বৈষম্য হ্রাসঃ দেশের অভ্যন্তরে ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় বৈষম্য হ্রাস করা।

১১। টেকসই নগর ও সম্প্রদায়ঃ নগর ও মানব বসতিগুলোকে অন্তর্ভুক্তিমূলক, নিরাপদ, দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই করে তোলা।

১২। সম্পদের দায়িত্বপূর্ণ ব্যবহারঃ টেকসই ভোগ ও উৎপাদনরীতি নিশ্চিত করা।

১৩। জলবায়ু বিষয়ে পদক্ষেপঃ জলবায়ু পরিবর্তন ও এর প্রভাব মোকাবেলায় জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

১৪। টেকসই মহাসাগরঃ টেকসই উন্নয়নের জন্য সাগর, মহাসাগর ও সামুদ্রিক সম্পদের সংরক্ষণ ও সেগুলোর টেকসই ব্যবহার করা।

১৫। ভূমির টেকসই ব্যবহারঃ পৃথিবীর ইকোসিস্টেমের সুরক্ষা, পুনর্বহাল, ও টেকসই ব্যবহার করা, টেকসইভাবে বন ব্যবস্থাপনা, মরুকরণ রোধ, ভূমিক্ষয় রোধ ও বন্ধ করা এবং জীব্ বৈচিত্র্যের ক্ষতি রোধ করা।

১৬। শান্তি, ন্যায়বিচার ও কার্যকর প্রতিষ্ঠানঃ টেকসই উন্নয়নের জন্য শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ তৈরি করা, সবার জন্য ন্যায়বিচারের সুযোগ প্রদান করা , এবং সর্বস্তরে কার্যকর, জবাবদিহিমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা।

১৭। টেকসই উন্নয়নের জন্য অংশীদারিত্বঃ টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়নের উপায়গুলো জোরদার করা এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব পুনর্জীবিত করা।

বিঃদ্রঃ- মনোনীত বা আবেদনকারীরা একের অধিক টেকসই লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করে থাকলেও আবেদনের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

 

স্থান:

বাংলাদেশ

সুযোগ সুবিধাসমূহ

  • জাতীয় প্রতিযোগিতায় ক্যাটাগরি ভিত্তিক বিজয়ী ব্যাক্তি বর্গ টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন প্রকল্পে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচীর প্রতিনিধি বা অ্যাম্বাসেডর হিসেবে সম্মানিত হবেন।
  • তাদের সাফল্য ও অবদানকে স্বীকৃতি দিয়ে তাদের গল্প লেখা বই বাংলা ও ইংরেজিতে প্রকাশিত হবে এবং সারা বাংলাদেশ জুড়ে ১৫০০ স্কুলে বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে।
  • বিজয়ীদের কাজ জাতীয় পত্রিকা ও চ্যানেলে ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে প্রকাশিত ও প্রচারিত হবে।

আবেদনের যোগ্যতা

১। মনোনয়ন প্রত্যাশী ও আবেদনকারীদের বয়স সীমা ১৮ হতে ৩৫ বছর।

২। আবেদনকারীকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।

৩। আবেদনকারীর উদ্যোগ বা কাজের ধারাবাহিক সময়কাল ন্যূনতম দুই (০২) বছর হতে হবে।

নিচের বিষয়বস্তুর উপর বিবেচনা করা প্রার্থী নির্বাচিত হবেঃ-

 

  • দৃষ্টিভঙ্গিঃ প্রার্থীর প্রতিশ্রুতি ও আবেগের সাথে তার নির্বাচিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গৃহীত পদক্ষেপ এর সংশ্লিষ্টতার প্রমান ও কার্যকারিতা।
  • সামাজিক প্রভাবঃ বিস্তৃত সম্প্রদায়ের উন্নয়নে তা কতটা উপকারি ও ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে।
  • উদ্ভাবনঃ টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সমস্যা সমাধানে তা কতটা উদ্ভাবনী ক্ষমতা প্রদর্শন করছে।
  • প্রদত্ত সেবাঃ মনোভাব, দক্ষতা অর্জন এবং টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উদ্ভুত চ্যালেঞ্জগুলোকে হারানোর নৈপূণ্যতা যাচাইকরণের মাধ্যমে দেখা হবে প্রার্থী প্রদত্ত পরিষেবার বাস্তব চিত্র।
  • টেকসই যোগ্যতাঃ সময়ের সাথে প্রার্থীগৃহীত উদ্যোগ ও পদক্ষেপ কতটা সুদৃঢ় অবস্থান বজায় রাখবে তা বুঝে দেখা।
যেসকল স্থানের প্রার্থীদের জন্য প্রযোজ্য: বাংলাদেশ

আবেদন পদ্ধতি

প্রতিটি টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীর আবেদন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচী সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক প্রতিনিধি সম্বলিত বিচারক প্যানেল কর্তৃক পর্যালোচিত হবে। নির্বাচিত প্রার্থীদের ই-মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হবে।

আবেদনের জন্য প্রদত্ত ফর্মটি পূরণ করুন।

 

আবেদনের শেষ তারিখ: অক্টোবর ৩১, ২০১৯

আবেদনের সময় শেষঅফিসিয়াল লিংক

বিস্তারিত জানতে

যে কোন তথ্যের জন্য [email protected] এ যোগাযোগ করুন।
Disclaimer: Youth Opportunities spreads opportunities for your convenience and ease based on available information, and thus, does not take any responsibility of unintended alternative or inaccurate information. As this is not the official page, we recommend you to visit the official website of opportunity provider for complete information. For organizations, this opportunity is shared with sole purpose of promoting “Access to Information” for all and should not be associated with any other purposes.

Log in with your credentials

Forgot your details?