ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশন্স (ICCR) ভারত সরকারের একটি স্বায়ত্বশাসিত সংগঠন, এই সংগঠনের বৃত্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পায়।
ভারত সরকার বাংলাদেশের পাশাপাশি ইউরোপ-আমেরিকা-আফ্রিকা-এশিয়ার মোট ৭৩টি দেশের শিক্ষার্থীকে এই স্কলারশিপ দিচ্ছে। এপর্যন্ত মোট ৩৫০০ জন বাংলাদেশী এই স্কলারশিপটি পেয়েছেন। ।প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ২০০ জন স্কলারকে নির্বাচন করা হয়।
এই বৃত্তি গ্রহণকারীদের থাকা-খাওয়া সব খরচ বহন করে কর্তৃপক্ষ।আন্তর্জাতিক সব ছাত্রের জন্য হলে থাকার ব্যবস্থা আছে। শিক্ষার্থীকে শুধু যাতায়াত খরচ বহন করতে হয়। টিকিট জমা দিলে সে খরচও দেয় আইসিসি কর্তৃপক্ষ। তাই আন্তর্জাতিক মানের সার্টিফিকেট অর্জনে প্রত্যাশী ছাত্ররা এ বৃত্তি গ্রহণ করতে পারেন।
স্থান:
ভারতসুযোগ সুবিধাসমূহ
স্কলারশিপে যা যা থাকছেঃ
- প্রতি মাসে আন্ডারগ্র্যাজুয়েটে ১৮ হাজার রুপি, মাস্টার্সে ২০ হাজার রুপি, এমফিল/পিএইচডিতে ২২ হাজার রুপি এবং পোস্ট-ডক্টরালে ২৫ হাজার রুপি করে স্টাইপেন্ড দেয়া হবে।
- ৫৫০০-৬৫০০ রুপি পর্যন্ত হাউজ রেন্ট এলাওয়েন্স। উল্লেখ্য, কোনো মতেই স্কলারশিপপ্রাপ্তদের তাদের জন্য বরাদ্দকৃত আবাসন বাদ দিয়ে বাইরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকা যাবে না।
- বছরে আন্ডারগ্র্যাজুয়েটে ৫ হাজার রুপি, মাস্টার্সে ৭ হাজার রুপি, এমফিল/পিএইচডিতে ১২ হাজার ৫০০ রুপি এবং পোস্ট-ডক্টরালে ১৫ হাজার ৫০০ রুপি করে কন্টিনজেন্ট গ্র্যান্ট দেয়া হবে।
- থিসিস সংক্রান্ত ব্যায়ের জন্য ৭-১০ হাজার রুপি দেয়া হবে।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার থেকে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা পাওয়া যাবে।
আবেদনের যোগ্যতা
- আন্ডারগ্র্যাজুয়েটে আবেদনের ক্ষেত্রে এইচএসসিতে ইংরেজিতে ৩ বা ৬০ শতাংশ নাম্বার থাকতে হবে। BE/B Tech প্রোগ্রামে আবেদন করতে চাইলে অবশ্যই এইচএসসিতে পদার্থ, রসায়ন এবং গণিত থাকতে হবে।
- ২০২০ এর জুলাই এ বয়স ১৮ এর নিচে বা ৩০ বছরের এর উপরে হলে আবেদন করা যাবে না।
- M. Phil/Doctoral/Post-Doctoral প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে সিনোপসিস জমা দিতে হবে আবেদনের সাথে।
আবেদন পদ্ধতি
প্রদত্ত লিংকে গিয়ে আবেদন করুন।
আবেদন করতে যা প্রয়োজনঃ
- ছবি
- সকল একাডেমিক মার্কশিট এবং সার্টিফিকেট
- পাসপোর্ট
- এন আই ডি বা জন্ম সনদের ইংরেজি কপি
- ফিজিক্যাল ফিটনেস সার্টিফিকেট
আবেদনের শেষ তারিখ: ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯
আবেদনের সময় শেষঅফিসিয়াল লিংক